ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

করোনা সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে

চকরিয়ায় বদরখালী সমিতির সাধারণ সভার প্রস্তুতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আগামীকাল ১৯ জুন/২১, শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির ৬৪তম সাধারণ সভা। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সমিতির পক্ষথেকে প্রজ্ঞাপন জারি পুর্বক সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় জনসাধারণ ও সমিতির সভ্য পোষ্যদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, দেশে বর্তমানে বৈশি^ক মহামারি করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব চলছে। এ অবস্থায় সমিতির সাধারণ সভার আয়োজনের বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

সমিতির সভ্য এবং স্থানীয় জনগনের অভিযোগ, মহামারি করোনা সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মাধ্যমে বদরখালী সমিতিতে সাধারণ সভার প্রস্তুতিতে দেড় হাজার সভ্য এবং দর্শক হিসেবে অনুষ্ঠানটি দেখতে আরও অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার পোষ্যদের উপস্থিতি চরম স্বাস্থ্যঝুঁিকর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বর্তমানে সরকার সারাদেশে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সেকারণে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় (বিশেষ করে সংক্রমন প্রবণ এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউনও) দিচ্ছে। এরই আলোকে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন উপজেলার সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিনিউটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সবধরণের জনসমাগম বা সভা সেমিনার বন্ধ থাকার ঘোষনা দেয়ার পরও বদরখালী ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণ ও সমিতির সভ্য পোষ্যদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, দেশে বর্তমানে বৈশি^ক মহামারি করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব চলছে। এ অবস্থায় সমিতির সাধারণ সভার আয়োজনের বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

সমিতির বেশিরভাগ সভ্য দাবি করেছেন, বদরখালী সমিতির মোট সভ্য সংখ্যা দেড় হাজার। তদমধ্যে চার শতাধিক সভ্য জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকুরীর সুবাদে থাকেন এলাকার বাইরে বিশেষ করে ঢাকা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। সাধারণ সভায় সমিতির সকল সভ্যকে উপস্থিত থাকতে হয়। ফলে এলাকার বাইরে থাকা সভ্যরা যদি ওইদিন সাধারণ সভায় অংশনেন তা হলে কেউ করোনা সংক্রমণ নিয়ে সভায় উপস্থিত হলে তাঁর মাধ্যমে উপস্থিত সভ্য পোষ্যদের সংক্রমিত হবারও সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা আছে, করোনাকালীন সময়ে কোন ধরণের সভা সেমিনার আয়োজন করা যাবেনা, এই অবস্থায় করোনা ঝুঁকি থাকা স্বর্তেও কীভাবে সাধারণ সভা ডাকলেন জানতে চাইলে বদরখালী সমিতির সম্পাদক নুরুল আমিন জনি বলেন, সমিতির আইনের আলোকে বার্ষিক সাধারণ সভাটির আয়োজন করা হয়। সেখানে সভ্যাদের লভ্যাংশ বিতরণ থেকে শুরু করে সমিতির আয় ব্যয়ের সবধরণের কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। সমবায় আইনে বলা আছে, বার্ষিক অডিট রির্পোট দাখিলের পর ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ সভার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আমরা আগেও একবার সাধারণ সভার তারিখ ঘোষনা দিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেইবার বন্ধ ঘোষনা করি।

তিনি বলেন, সমিতির সাধারণ সভাটি সভ্য পোষ্যদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপুর্ণ। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আমরা আগামী ১৯ জুন নতুন তারিখ ঘোষনা করেছি। যতদুর সম্ভব সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থবিধি মেনে আমরা সমিতির ৬৪ তম সাধারণ সভাটি সম্পন্ন করবো। সেক্ষেত্রে কোন ধরণের সমস্যা হবেনা।

বিষয়টি প্রসঙ্গে অবহিত করা হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, বদরখালী সমিতির সাধারণ সভার বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি। যেহেতু বিষয়টি সমিতির আভ্যন্তরিণ ব্যাপার। আর সভাটি আয়োজনে আমার কাছে কেউ লিখিত বা মোখিক কোনধরণের অনুমোদনও নেয়নি।

 

পাঠকের মতামত: